Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

আর কত আট বছরের শিশু আসিয়ার আর্তনাদ আমাদের শুনতে হবে




মাগুরা জেলায় ৮ বছরের যে বাচ্চাটা বোনের শশুরের ধর্ষণের শিকার হয়__দুলাভাই বাড়ি বেড়াতে এসে ৮ বছর বয়সী 

আছিয়া নামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।ঘটনাটি মাগুরা নীজনান্দুয়ালী গ্রামে। 

আছিয়া (০৮) পিতা ফেরদৌস শেখ, গ্রাম: জারিয়া

ইউনিয়ন সব্দালপুর।

বাবা, বোন,ভাইয়ের সাথে  দুলাভাই(

সজীব মিয়া পিতাঃ হিটু মিয়া) বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষনের শিকার হয় আছিয়া।

আছিয়াকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার তাকে ফরিদপুরে রিফাট করে দেন ,

হাসপাতালে শিশুটির কাৎরানো অবস্থা দেখে চোখের কোন থেকে অজান্তেই পানি গড়িয়ে পড়ে,

মূল ঘটনা __ বড়ো বোনের বাড়িতে গিয়েছিলো বাচ্চা মেয়েটা। বাড়ি ফিরতে রাত হবে বলে বড়ো বোন বলেছিলো পরের দিন বাড়িতে যেতে। বড়ো বোন বাইরে গিয়েছিলো কিছুক্ষনের জন্য। বাচ্চা মেয়েটা বড়োবনের ঘরের বিছানার এক কোনে গুটিসুটি শুয়ে ছিল।বড়ো বোনের বর মানে জামাইবাবু ও ছিল সেই ঘরে। বড়ো বোন ভেবেছিলো যেহেতু তার স্বামী আছে তাহলে কোনো সমস্যা। তারপর বড়ো বোন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কিছুক্ষন পরে বাড়িতে ফিরে দেখে ঘরের আলো নেভানো ঘুটঘুটে অন্ধকার, তড়িঘড়ি ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের বোন বিছানায় এলোমেলো হয়ে পড়ে রয়েছে, মুখ ফ্যাকাশে। বড়ো বোন তখন বুঝে উঠতে পারে না কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে! অনেক্ষন পড়ে বুঝতে পারে !


বড়োবোন হাত জোর করে তার শাশুড়ির কাছে যাতে তার বোন টাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করে বলে ঘটনাটি জানাজানি হলে তাদের মান  সন্মান নষ্ট হবে। তার পরে বহু কষ্টে শাশুড়ি কে রাজি করিয়ে বড়ো বোন তার ছোটো বোন কে নিয়ে যায় হাসপাতালে। কোনোরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরো বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু বাচ্চা মেয়েটি। বাচ্চা মেয়েটার বয়স কত হবে সাত কি আট! যৌনতার কিছুই বোঝেনা সে। মেয়ের মা ও বোনের সন্দেহ হয়তো তার জামাইবাবু আর জামাইবাবুর বাবা  এই কাজটি করেছে । তবে জোরালো সন্দেহ তার জামাইবাবুর প্রতি যেহেতু বাচ্চা মেয়েটি জামাইবাবুর ঘরেই ছিল। এই জনতা এখন বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দেবে ? এখন তো তার ওড়না নেওয়ার সময় হয়নি বড় হলে নয় বলতো ওড়না নেয়নি। তাই তার সঙ্গে এটা হয়েছে কিন্তু সে তো ছিল সাত আট বছরের বাচ্চা। জনতা কি এবারেও ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে আনবে মেয়ের মা এবং বোন মিলেই এখনো অসহায়ের মতো পড়ে আছে হাসপাতালে তাদেরকে সাহায্য করতে আসেনি জনতা । আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন।বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ব্যথায় একটু পর পর কুঁকড়ে উঠছে শুধু বড় বোন এক পাশে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর মা মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আশ্বাস দিচ্ছে সব ঠিক হয়ে যাবে মা  😔 

 আদৌ কি কিছু ঠিক হবে ? ঠিক হবে কি এই সমাজ? এখানে কি আদৌ কোন নারীর নিরাপত্তা আছে?মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় এই ধর্ষণ খেলা মরার পরেও নারীদের ধর্ষিত হতে হয় আদৌ কি এটা কোন দিন বন্ধ হবে????????????????????????


কি অপরাধ ছিলো তার? মেয়ে হয়ে জন্মানোটাই কি আজন্ম পাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে নাকি? না সে পর্দা করে চলে নাই সেটা তার পাপ? আমি কিছু লিখার ভাষা পাচ্ছি না আসলে।গতরাতে বাচ্চাটার হাসপাতালের বেডে কাৎরানোর দৃশ দেখে কতটা অসহায় লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না।  সমাজে এইসব নরপশুরা বেঁচে থাকে কি করে সেটাই ভেবে পাই না। দেশে এতোগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গেলো, 

আর তৌহিদী জনতা আছে মেয়েরা ওড়না ঠিক করো, মেয়েরা রাস্তায় বিড়ি খেয়ো না, মেয়েরা অফিসে কাজ করো না, মেয়েরা পর্দা করো, মেয়েরা রাস্তায় হেঁটো না, মেয়েরা নিশ্বাস নিও না।  নিজের বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে বোনের শশুর দ্বারা ধর্ষণের শিকার ছোট্ট বাচ্চাটি ভাবা যায়?

এই অপরাধীর যদি শাস্তি না হয় তাহলে সমাজ থেকে পুরুষ নিধন করা হোক।  https://www.newsology24.xyz

newsology24.xyz



Post a Comment

8 Comments

  1. ঘটনাটি আসলেই বেদনাদায়ক একজন মানুষ কতটা নিকৃষ্ট হলে এরকম হতে পারে আমি তার অবিলম্বে ফাঁসি চাই

    ReplyDelete
  2. ধর্ষকের ফাঁসি চাই

    ReplyDelete
  3. ধর্ষকের কঠিন ও তমো সাজা এক ফাঁসি চাই

    ReplyDelete