Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

রমজানে মৃত্যুর শহরে পরিণত গাজা


রমজানে গাঁজার ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা: মৃত্যুর শহরে পরিণত গাজা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক..........


রমজান, যেখানে সারা বিশ্বের মুসলমানরা সংযম ও ইবাদতে নিমগ্ন, সেখানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নেমে এসেছে এক অবর্ণনীয় দুঃস্বপ্ন। ইসরায়েলি বাহিনী এই পবিত্র মাসেও তাদের বর্বর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, প্রতিদিন বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে পুরো গাজা। নিরপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রমজানের রাত।

বিশ্বের চোখের সামনে দিনের পর দিন গাজায় এক ভয়াবহ গণহত্যা চললেও, কার্যকরভাবে কেউ এগিয়ে আসছে না। ইসরায়েলের এই তাণ্ডবে রমজান মাস যেন ফিলিস্তিনের জন্য এক অভিশাপে পরিণত হয়েছে



গাজার আকাশে আগুনের বৃষ্টি, ধ্বংসস্তূপে রূপ নিচ্ছে নগরী
গাজার বাসিন্দারা দিনরাত আতঙ্কের মধ্যে কাটাচ্ছেন। তাদের মাথার ওপর প্রতিনিয়ত নেমে আসছে মারণাস্ত্র। বোমার আঘাতে ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর, ধসে যাচ্ছে হাসপাতাল, ধ্বংস হচ্ছে মসজিদ ও স্কুল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "আমরা জানি না কখন আমাদের ওপর বোমা পড়বে। দিনের আলোতে যেমন হামলা হয়, ঠিক তেমনি সেহরি বা ইফতারের সময়ও বোমা বর্ষণ থামে না। শিশুরা ক্ষুধার্ত, আহতরা ব্যথায় কাতরাচ্ছে, কিন্তু আমাদের জন্য কেউ নেই।"

হাসপাতালগুলোর ভয়াবহ পরিস্থিতি: চিকিৎসার সুযোগ নেই
ইসরায়েলের হামলায় গাজার হাসপাতালগুলোতে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আহতদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ফুরিয়ে গেছে।

একজন চিকিৎসক বলেন, "আমরা রমজানের পবিত্রতা ভুলে গেছি। এখানে শুধু রক্ত, মৃত্যু আর কান্না। আহতদের বাঁচানোর কোনো উপায় নেই, ওষুধ নেই, অক্সিজেন নেই।"

খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট: রোজার মাসে অভুক্ত হাজারো মানুষ
ইসরায়েল অবরোধের মাধ্যমে গাজায় খাদ্য ও পানির প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। শিশুরা অভুক্ত, খাবার ও পানির জন্য হাহাকার করছে মানুষ। সেহরি ও ইফতারে কিছুই জুটছে না, এক টুকরো রুটির জন্য পরিবারগুলো দিন পার করছে।

এক গাজাবাসী বলেন, "আমরা রোজা রাখতে চাই, কিন্তু খাবার নেই। পানি নেই। এমনকি আমাদের জন্য দোয়া করতেও অনেকে ভুলে গেছে।"

রমজানেও মসজিদে হামলা: ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর চূড়ান্ত আঘাত
গাজার বেশ কয়েকটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যেখানে মানুষ নামাজ পড়তে যাচ্ছিল, সেখানেই বোমার আঘাতে লাশের স্তূপ জমেছে।



এক ইমাম বলেন, "আমরা মসজিদে গিয়ে ইবাদত করতে পারছি না। কোথাও নিরাপদ নেই, এমনকি আল্লাহর ঘরও রক্ষা পাচ্ছে না।"

বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা: মুসলিম উম্মাহর কি কিছুই করার নেই?
বিশ্ববাসী দেখছে, কিন্তু কার্যকরভাবে কিছু করছে না। মুসলিম দেশগুলো নিন্দা জানালেও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে হামলা প্রতিদিন বাড়ছে, নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে, গাজা ধ্বংস হচ্ছে।

শেষ কথা
গাজায় ইসরায়েলের এই নির্মম হামলা পুরো বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে—মানবতা কি আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ? গাজার মানুষরা কি এভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে?

এই রমজানে প্রত্যেকটি বিবেকবান মানুষের উচিত গাজার মানুষের জন্য আওয়াজ তোলা। ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বিশ্বের সবাইকে একসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও মানবতার স্বপক্ষে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।)

Post a Comment

3 Comments