হাসুন আর গাড়ি চালান:______________
বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সংকট ও পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে বিজ্ঞানীরা এক অভূতপূর্ব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন, যা ভবিষ্যতের যানবাহন ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দিতে পারে! এবার গাড়ি চলবে মানুষের হাসির শক্তিতে!
নিউইয়র্কের বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান "Future Energy Lab"-এর একদল বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন, মানুষের হাসির শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। তারা দাবি করছেন, এই প্রযুক্তি সফল হলে আগামী দশকের মধ্যে তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে, আর মানুষও আরও বেশি হাসতে উৎসাহিত হবে!
হাসির শক্তি কীভাবে কাজ করে ?
বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের হাসির সময় তৈরি হওয়া শব্দ তরঙ্গ উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির কম্পন সৃষ্টি করে। গবেষকদের তৈরি বিশেষ "Laugh-to-Energy" ডিভাইস এই শব্দ তরঙ্গ সংগ্রহ করে ইলেকট্রিক চার্জে রূপান্তরিত করতে সক্ষম।
এই প্রযুক্তিতে গাড়ির ভেতরে বিশেষ সেন্সর ও "সাউন্ড কনভার্টার" লাগানো থাকবে, যা যাত্রীদের হাসির শব্দ সংগ্রহ করবে। এরপর সেই শব্দ তরঙ্গকে শক্তিতে রূপান্তর করে ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করা হবে।
অর্থাৎ, যত বেশি হাসবেন, তত বেশি চার্জ হবে গাড়ির ব্যাটারি— ফলে গাড়ি চালানো যাবে আরও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত!
প্রথম পরীক্ষামূলক গাড়ির সফলতা!
পরীক্ষামূলকভাবে বিজ্ঞানীরা একটি ইলেকট্রিক গাড়িতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চমকপ্রদ ফলাফল পেয়েছেন। ৫ জন হাস্যোজ্জ্বল যাত্রী নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িটি ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে মাত্র ১৫ মিনিটের হেসে-খেলে!
একজন পরীক্ষামূলক চালক, মাইকেল জনসন, বলেন, "আমি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! তবে যখন বন্ধুদের সঙ্গে গাড়িতে মজা করতে শুরু করলাম, তখন দেখলাম গতি বাড়ছে! এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য!"
সামাজিক ও মানসিক উপকারিতা:_______
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তি শুধু পরিবেশ রক্ষাই করবে না, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী হবে।
বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ড. এলিসন কার্টার বলেন, "আমরা জানি, হাসি মানসিক চাপ কমায় ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যদি মানুষ গাড়ি চালানোর সময় বেশি হাসে, তাহলে তারা আরও সুখী ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে!"
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
গবেষক দল আশা করছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শুধু গাড়ি নয়, বাস, ট্রেন এবং এমনকি ছোট প্লেনেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। যদি এটি সফল হয়, তাহলে এক নতুন যুগের সূচনা হবে, যেখানে জ্বালানির জন্য আর প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় হবে না— বরং মানুষের খুশিই হবে শক্তির উৎস!
তাহলে প্রস্তুত হয়ে যান— ভবিষ্যতে হয়তো আপনার গাড়ি চালাতে তেলের দরকার হবে না, শুধু আপনাকে হাসিখুশি থাকতে হবে!
আপনার মতামত কী?
আপনি কি এমন একটি গাড়ি ব্যবহার করতে চান? আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই খবর শেয়ার করুন এবং বলুন, তারা কি মজা করে গাড়ি চালাতে রাজি?
(এই প্রতিবেদনটি কাল্পনিক এবং মজার উদ্দেশ্যে তৈরি। বাস্তবতার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই!)
www.newsology24.xyz
0 Comments